
শেখ হাসিনার দুর্নীতি সাম্রাজ্য: বাংলাদেশ লুটপাটের মহাকাব্য (২০০৯-২০০৪)
Episode 1: শেখ হাসিনার লুটেরাতন্ত্র – যেভাবে একটি দেশকে শেষ করা হলো
নগ্ন সত্য: শেখ হাসিনা কী করেছেন
১৫ বছরে শেখ হাসিনা ও তার পরিবার বাংলাদেশকে পরিকল্পিতভাবে লুটে নিয়েছে। বিএনপির দুর্নীতি ছিল রাস্তার চাঁদাবাজি, কিন্তু হাসিনার দুর্নীতি ছিল রাষ্ট্রীয় ডাকাতি।
ভয়ংকর সংখ্যা:
- মোট চুরি: ১৫০-২৩৪ বিলিয়ন ডলার (২০ লাখ কোটি টাকা!)
- বছরে গড়: ১০-১৫.৬ বিলিয়ন ডলার
- বিএনপির চেয়ে: ১১৭-২৩৪ গুণ বেশি!
এটা পড়ুন আবার – একশত সতের থেকে দুইশত চৌত্রিশ গুণ বেশি দুর্নীতি!
পর্ব ১: রূপপুর – ৫ বিলিয়ন ডলারের মহা-ডাকাতি
সবচেয়ে বড় একক কেলেঙ্কারি
মোট প্রকল্প খরচ: ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার
আত্মসাৎ: ৫ বিলিয়ন ডলার (৬০,০০০ কোটি টাকা!)
কীভাবে: চুক্তিতে কমিশন, খরচ ফুলানো, রাশিয়ার সাথে গোপন চুক্তি
এই একটা মাত্র প্রকল্প থেকে চুরি = বিএনপির পুরো ৫ বছরের চেয়ে ৫ গুণ বেশি!
রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র হাসিনা পরিবারের ব্যক্তিগত ব্যাংক হয়ে গেছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকা সরাসরি হাসিনা পরিবারের পকেটে।
পর্ব ২: ব্যাংকিং খাত – ৩০-৫০ বিলিয়ন ডলারের লুটপাট
পুরো ব্যাংক সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে
হাসিনা শুধু চুরি করেননি, পুরো ব্যাংক সিস্টেম দখল করে নিয়েছেন তার দোসরদের দিয়ে।
এস আলম গ্রুপ – হাসিনার ঘনিষ্ঠ
- লুটপাট: ১০-১৫ বিলিয়ন ডলার
- পদ্ধতি: ইসলামী ব্যাংক দখল, জাল ঋণ
- সংযোগ: সরাসরি শেখ হাসিনার আশীর্বাদ
বেক্সিমকো – সালমান এফ রহমান
- পাচার: ৫ বিলিয়ন ডলার (৬০,০০০ কোটি টাকা)
- পদ: প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য
- মিডিয়া: ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির মালিক
- সম্পত্তি: লন্ডন, সিঙ্গাপুরে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট
বসুন্ধরা গ্রুপ
- অনাদায়ী ঋণ: ৩.৫ বিলিয়ন ডলার
- বাস্তবতা: এই টাকা আর ফেরত আসবে না
নবীল গ্রুপ
- ঋণ কেলেঙ্কারি: ১.৫ বিলিয়ন ডলার
হলমার্ক-সোনালী ব্যাংক – ৪৫৪ মিলিয়ন ডলার
সময়: ২০১০-২০১২
চুরি: ৩,৫৪৭ কোটি টাকা
পদ্ধতি: জাল দলিল, ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে ষড়যন্ত্র
রাজনৈতিক সংযোগ:
- সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী (প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা) সরাসরি জড়িত
- অর্থমন্ত্রী বলেছিল “এটা বড় কিছু না” – মানে কী? ৩,৫০০ কোটি টাকা বড় না?
বেসিক ব্যাংক – ৫৬২ মিলিয়ন ডলার
চোর: শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু (আওয়ামী লীগ নেতা)
চুরি: ৪,৫০০ কোটি টাকা
অর্থমন্ত্রীর স্বীকারোক্তি: “বিশাল আত্মসাৎ হয়েছে, বাচ্চু জড়িত”
তারপর কী হলো? কিছুই না! বাচ্চুর বিরুদ্ধে একটা মামলাও হয়নি! কারণ – আওয়ামী লীগ নেতা।
পর্ব ৩: পদ্মা সেতু – ৫০০ মিলিয়ন ডলার কেলেঙ্কারি
বিশ্বব্যাংক কেন সরে গেল?
বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ: “দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ”
অভিযুক্ত:
- সৈয়দ আবুল হোসেন (যোগাযোগ মন্ত্রী) – পদত্যাগ করতে বাধ্য
- মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাসিনার ভাগ্নে!)
হাসিনা কী করলেন?
দুদক ৫৩ দিন “তদন্ত” করে সবাইকে খালাস দিল। নাটক!
তারপর বলা হলো “আমরা নিজের টাকায় সেতু বানাবো” – মানে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আরও বেশি কমিশন কাটার সুযোগ!
পর্ব ৪: শেখ পরিবারের অর্থ পাচার – ১০-২০ বিলিয়ন ডলার
হাসিনা পরিবারের বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্য
দুদক তদন্ত (২০২৪-২০২৫):
- পাচারকৃত অর্থ: ৮০,০০০ কোটি টাকা (১০ বিলিয়ন ডলার)
- সন্দেহজনক পাচার: ৮০০ বিলিয়ন টাকা + ৩০০ মিলিয়ন ডলার
সম্পত্তির তালিকা:
🇺🇸 যুক্তরাষ্ট্র: একাধিক বিলাসবহুল সম্পত্তি
🇬🇧 যুক্তরাজ্য: টিউলিপ সিদ্দিকীর নামে বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট
🇲🇾 মালয়েশিয়া: সম্পত্তি
🇸🇬 সিঙ্গাপুর: একাধিক সম্পত্তি
🇭🇰 হংকং: সম্পদ
🏝️ কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ: অফশোর হোল্ডিং (ট্যাক্স ফাঁকি)
🇦🇪 দুবাই, সাইপ্রাস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হাইতি
জড়িত পরিবার:
- শেখ হাসিনা (প্রধান লুটেরা)
- সজীব ওয়াজেদ জয় (পুত্র – আইসিটি উপদেষ্টা নামে কমিশনখোর)
- শেখ রেহানা (বোন)
- টিউলিপ সিদ্দিকী (ভাগ্নী – যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য, কেলেঙ্কারির পর পদত্যাগ)
- পুরো বর্ধিত পরিবার
পর্ব ৫: অন্যান্য বড় কেলেঙ্কারি
শেয়ারবাজার লুট – ২.৫ বিলিয়ন ডলার
সময়: ২০১১
ক্ষতি: ২০,০০০ কোটি টাকা
শিকার: লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ধ্বংস
হাজার হাজার মধ্যবিত্ত পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে গেল। অনেকে আত্মহত্যা করেছে। হাসিনা সরকার কিছুই করেনি।
ডেসটিনি গ্রুপ – ৯০০ মিলিয়ন ডলার
কেলেঙ্কারি: পিরামিড স্কিম
পাচার: বিভিন্ন দেশে ৯০০ মিলিয়ন ডলার
হাসিনা সরকার কী করলো? প্রথমে রক্ষা করলো, পরে চাপে পড়ে গ্রেফতার
বাংলাদেশ ব্যাংক ডাকাতি – ১০১ মিলিয়ন ডলার
সময়: ২০১৬
চুরি: সুইফট সিস্টেম হ্যাকিং করে ১০১ মিলিয়ন ডলার
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে চুরি! এটা কীভাবে সম্ভব? ভেতরের লোক ছাড়া অসম্ভব।
বাংলাদেশ ব্যাংক স্বর্ণ কেলেঙ্কারি – ৯৬৩ কেজি
সময়: ২০১৭
কেলেঙ্কারি: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে ৯৬৩ কেজি স্বর্ণের সাথে কারসাজি
প্রশ্ন: সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা থেকে স্বর্ণ কীভাবে হারায়?
কাস্টমস স্বর্ণ চুরি – ৫৫+ কেজি
সময়: সেপ্টেম্বর ২০২৩
স্থান: ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস গুদাম
চুরি: ৫৫+ কেজি স্বর্ণ নিখোঁজ
আশ্রয়ণ প্রকল্প – ২১,০০০ কোটি টাকা!
উদ্দেশ্য: গরীবদের জন্য ঘর
বাস্তব: ২১,০০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ
উদাহরণ – গ্রীন সিটি প্রকল্প (২০১৯):
- বালিশের বাজার দাম: ২৫০-৩০০ টাকা
- সরকারি কাগজে: ৫,৯৫৭ টাকা! (২০ গুণ বেশি!)
- প্রতি বালিশ পরিবহন: ৯৩১ টাকা! (একটা বালিশ নিতে ১,০০০ টাকা!)
মানে কী? গরীবদের নামে টাকা মেরে দেওয়া হচ্ছে!
পূর্বাচল জমি কেলেঙ্কারি
সাজা: শেখ হাসিনা – ২১ বছর কারাদণ্ড (২৭ নভেম্বর ২০২৪)
অপরাধ: অবৈধ প্লট বরাদ্দ, ভূমি দখল
বাস্তবতা: হাসিনা ভারতে পালিয়েছে, সাজা কার্যকর হবে না
পর্ব ৬: কুইক রেন্টাল – বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট (২-৫ বিলিয়ন ডলার)
পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি
কী হলো:
- হাসিনার ঘনিষ্ঠদের ছোট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানানোর অনুমতি
- কোনো আন্তর্জাতিক দরপত্র নেই
- অত্যধিক ব্যয়ে চুক্তি
- জনগণ বিদ্যুৎ বিল দিয়ে এই চোরদের পকেট ভারী করছে
হাসিনার সুরক্ষা:
ক্ষমা অধ্যাদেশ জারি করে নিজেকে এবং সবাইকে আইনি ব্যবস্থা থেকে রক্ষা করলো!
এটা হলো রাষ্ট্রীয়ভাবে দুর্নীতিকে বৈধতা দেওয়া!
পর্ব ৭: মোট অর্থ পাচার – ২৩৪ বিলিয়ন ডলার!
সরকারি শ্বেতপত্র (২০২৪):
মোট পাচার (২০০৯-২০২৩): ২৩৪ বিলিয়ন ডলার
বছরে গড়: ১৫.৬ বিলিয়ন ডলার
এই সংখ্যাটা কল্পনা করতে পারেন?
২৩৪ বিলিয়ন ডলার = ২৮ লাখ কোটি টাকা!
অন্যান্য তথ্য:
গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি:
বার্ষিক গড় পাচার: ৮.২৭ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর:
প্রধান শিল্প গোষ্ঠী বিদেশে পাচার করেছে ২.৫-৩ ট্রিলিয়ন টাকা!
সুইস ব্যাংক: বাংলাদেশী বড় আমানত নিশ্চিত করেছে
পর্ব ৮: হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা (পতনের পর)
মোট মামলা: ২৩৩টি! (নভেম্বর ২০২৪)
ভাঙলে:
- ২০২টি হত্যা মামলা
- ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধ/গণহত্যা মামলা
- ৩টি অপহরণ
- ১১টি হত্যা চেষ্টা
- অন্যান্য
প্রধান সাজা (অনুপস্থিতিতে):
১. মৃত্যুদণ্ড (১৭ নভেম্বর ২০২৪) – জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণহত্যা
২. ২১ বছর (২৭ নভেম্বর ২০২৪) – পূর্বাচল জমি দখল
৩. ৫ বছর (২ ডিসেম্বর ২০২৪) – সরকারি জমি প্রকল্প দুর্নীতি
৪. ৬ মাস (২০২৪) – আদালত অবমাননা
বর্তমান অবস্থা: ভারতে পালিয়ে আছে, ভারত প্রত্যর্পণ করছে না
পর্ব ৯: রাজনৈতিক হত্যা ও সন্ত্রাস
জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণহত্যা
নিহত: ১,০০০+ শিক্ষার্থী ও জনগণ
পদ্ধতি: গুলি, নির্যাতন
কারণ: কোটা সংস্কার আন্দোলন
দায়ী: সরাসরি শেখ হাসিনা
মোট হত্যা (২০০৯-২০২৪):
পুলিশ পরিসংখ্যান: ৬০,০০০ হত্যা
বার্ষিক গড়: ৪,০০০ খুন
বিচারবহির্ভূত হত্যা (ক্রসফায়ার):
মোট: ১,৯২৬ জন (২০০৯-২০২৪)
বার্ষিক গড়: ১২৮ জন
বাস্তবতা: বিনা বিচারে হত্যা, নির্যাতন, মিথ্যা এনকাউন্টার
গুম:
মোট: ৪০২+ জন (২০০৯-২০১৭)
বার্ষিক গড়: ৫০ জন
এখনও নিখোঁজ: ৮৬ জন
বাস্তবতা: পরিবার এখনও জানে না তাদের প্রিয়জন কোথায়। কাঁদছে, খুঁজছে, কিন্তু কোনো উত্তর নেই।
কারাবন্দী সাংবাদিক:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে: ৩৯১+ সাংবাদিক
কারণ: সত্য বলার “অপরাধ”
আবরার ফাহাদ হত্যা (৭ অক্টোবর ২০১৯)
শিকার: বুয়েট শিক্ষার্থী
হত্যাকারী: ছাত্রলীগ (হাসিনার ছাত্র সংগঠন)
কারণ: ভারত-বাংলাদেশ পানি চুক্তি নিয়ে ফেসবুক পোস্ট
পদ্ধতি: ছাত্রাবাসে সারারাত পিটিয়ে হত্যা
এটাই হাসিনার শাসন – মত প্রকাশের শাস্তি মৃত্যু।
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা (৯ ডিসেম্বর ২০১২)
শিকার: ২৪ বছরের দর্জি
হত্যাকারী: ছাত্রলীগ
পদ্ধতি: চাপাতি, লোহার রড, হকি স্টিক
প্রমাণ: দিনের আলোতে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে
শাস্তি: নামমাত্র, এখনও বেশিরভাগ পালিয়ে আছে
রানা প্লাজা ধস (২৪ এপ্রিল ২০১৩)
মৃত: ১,১৩৪ শ্রমিক
ভবন মালিক: সোহেল রানা (যুবলীগ নেতা – হাসিনার দল)
অপরাধ: অবৈধ নির্মাণ, ফাটল ধরার পরও শ্রমিকদের জোর করে কাজে পাঠানো
বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ পোশাক কারখানা দুর্ঘটনা। দায়ী – হাসিনার লোক।
ক্যাসিনো ও অর্থপাচার আড্ডা
সংখ্যা: ঢাকায় ~৬০টি অবৈধ ক্যাসিনো
মূল্য: ১২০ মিলিয়ন ডলার
পরিচালক: সেনা কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ সদস্যরা
প্রকাশ: ২০১৯, তারপর সব ধামাচাপা
পর্ব ১০: বিএনপির সাথে তুলনা – হাসিনা কতটা খারাপ?
স্কেল তুলনা – চোখ খুলে দেখুন:
| বিষয় | বিএনপি (৫ বছর) | আওয়ামী লীগ (১৫ বছর) | পার্থক্য |
|---|---|---|---|
| মোট দুর্নীতি | ১-২ বিলিয়ন ডলার | ১৫০-২৩৪ বিলিয়ন ডলার | ১১৭-২৩৪ গুণ |
| বার্ষিক গড় | ২০০-৪০০ মিলিয়ন | ১০-১৫.৬ বিলিয়ন | ৪০-৭৮ গুণ |
| বৃহত্তম কেলেঙ্কারি | ৫০ মিলিয়ন | ৫ বিলিয়ন (রূপপুর) | ১০০ গুণ |
| ব্যাংকিং খাত | ন্যূনতম | ৩০-৫০ বিলিয়ন | অসীম |
| মাথাপিছু চুরি | $৭-১৪ | $৯০০-১,৪০০ | ১০০+ গুণ |
সোজা কথায়:
বিএনপি = রাস্তার চাঁদাবাজি
আওয়ামী লীগ = রাষ্ট্রীয় ডাকাতি
বিএনপি = লক্ষ কোটি টাকা চুরি
হাসিনা = লাখ কোটি টাকা চুরি
পর্ব ১১: পদ্ধতির পার্থক্য – কীভাবে চুরি করা হয়েছে
বিএনপির পদ্ধতি (অশোধিত):
- হাওয়া ভবন থেকে সরাসরি চাঁদা
- ব্যক্তিগত সমৃদ্ধি
- চুক্তিতে কমিশন
- দৃশ্যমান দুর্নীতি
- মৌলিক ঘুষ স্কিম
- প্রধান চোর: তারেক রহমান
হাসিনার পদ্ধতি (পরিকল্পিত):
- প্রাতিষ্ঠানিক দখল – পুরো ব্যাংক সিস্টেম হাইজ্যাক
- মেগা-প্রকল্প কমিশন – বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার
- ব্যবসায়িক সংগঠন – পরিবার ও দোসরদের দিয়ে লুট
- রাষ্ট্র-অনুমোদিত লুণ্ঠন – সরকারি কর্মকর্তারা সাহায্য করছে
- অত্যাধুনিক পাচার – অফশোর অ্যাকাউন্ট, বিশ্বব্যাপী সম্পত্তি
- পারিবারিক উদ্যোগ – পুরো পরিবার জড়িত
- আইনি সুরক্ষা – ক্ষমা আইন, নিয়ন্ত্রিত বিচার
- মিডিয়া দমন – ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
পর্ব ১২: প্রাতিষ্ঠানিক ধ্বংস
বিএনপি আমল:
- প্রতিষ্ঠান দুর্বল কিন্তু কার্যকর
- বিচার বিভাগ আপসকৃত কিন্তু বেঁচে ছিল
- মিডিয়া স্বাধীন
- দুদক কাজ করতে পারতো
- ২০০৬-এ শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়
হাসিনা আমল – সবকিছু ধ্বংস:
বিচার বিভাগ: পুরোপুরি দলীয়করণ, পুতুল বিচারক
নির্বাচন কমিশন: রাবার স্ট্যাম্প, ভোটারবিহীন নির্বাচন
দুদক: রাজনৈতিক হাতিয়ার
মিডিয়া: সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, সাংবাদিক জেলে
সংসদ: রাবার স্ট্যাম্প, কোনো বিরোধী দল নেই
পুলিশ: হত্যা যন্ত্র
ব্যাংক: লুটের আখড়া
ফলাফল: পুরো রাষ্ট্র যন্ত্র একটা পরিবারের সেবক হয়ে গেছে।
পর্ব ১৩: নির্বাচন – গণতন্ত্রের হত্যা
২০০৮: মুক্ত ও সুষ্ঠু – জনগণ হাসিনাকে ভোট দিয়েছে
২০১৪: ভোটারবিহীন নির্বাচন!
- বিরোধী দল বয়কট
- ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়
- এটা নির্বাচন না, নাটক
২০১৮: ব্যাপক কারচুপি
- রাতের ভোট!
- ভোট কেন্দ্র দখল
- মিথ্যা ফলাফল
- সবচেয়ে জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচন
২০২৪: পরিকল্পিত কিন্তু…
- ছাত্র অভ্যুত্থানে পতন!
- জনগণ রাস্তায়, হাসিনা পালিয়ে গেছে
পর্ব ১৪: চূড়ান্ত হিসাব – সংখ্যায় দেখুন
মোট আনুমানিক দুর্নীতি (হাসিনা আমল):
রূপপুর পারমাণবিক: ৫ বিলিয়ন ডলার
পদ্মা সেতু (অভিযুক্ত): ০.৫ বিলিয়ন
ব্যাংকিং খাত লুট: ৩০-৫০ বিলিয়ন
- এস আলম গ্রুপ: ১০-১৫ বিলিয়ন
- বেক্সিমকো: ৫ বিলিয়ন
- বসুন্ধরা: ৩.৫ বিলিয়ন
- নবীল: ১.৫ বিলিয়ন
- অন্যান্য: ১০+ বিলিয়ন
হলমার্ক-সোনালী: ০.৪৫ বিলিয়ন
শেয়ারবাজার: ২.৫ বিলিয়ন
বেসিক ব্যাংক: ০.৫৬ বিলিয়ন
ডেসটিনি গ্রুপ: ০.৯ বিলিয়ন
অন্যান্য ব্যাংক: ২-৩ বিলিয়ন
পারিবারিক পাচার: ১০-২০ বিলিয়ন
কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ: ২-৫ বিলিয়ন
মেগা প্রকল্প (বিভিন্ন): ৫০-১০০ বিলিয়ন
পদ্ধতিগত চাঁদাবাজি/কমিশন: ৫০-১০০ বিলিয়ন
────────────────────────────────────────────
মোট: ১৫০-২৩৪ বিলিয়ন ডলার
বছরে গড়: ১০-১৫.৬ বিলিয়ন
তুলনায়:
বিএনপি (৫ বছর): ১-২ বিলিয়ন ডলার
হাসিনা (১৫ বছর): ১৫০-২৩৪ বিলিয়ন ডলার
পার্থক্য: ১১৭-২৩৪ গুণ!
চূড়ান্ত রায়: শেখ হাসিনা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লুটেরা
ঐতিহাসিক তুলনা:
ফার্ডিন্যান্ড মার্কোস (ফিলিপাইন): $৫-১০ বিলিয়ন (২০ বছর)
সুহার্তো (ইন্দোনেশিয়া): $১৫-৩৫ বিলিয়ন (৩২ বছর)
মোবুতু (জায়ার): $৫ বিলিয়ন (৩২ বছর)
শেখ হাসিনা (বাংলাদেশ): $১৫০-২৩৪ বিলিয়ন (১৫ বছর)
সোজা সত্য:
বিএনপি দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল – হ্যাঁ
কিন্তু শেখ হাসিনা? অন্য মাত্রা।
বিএনপি চুরি করেছে – হাসিনা পুরো দেশ লুট করেছে।
বিএনপি ঘুষ নিয়েছে – হাসিনা রাষ্ট্র বিক্রি করেছে।
বিএনপি কিছু ব্যাংক লুট করেছে – হাসিনা পুরো ব্যাংকিং সিস্টেম ধ্বংস করেছে।
বিএনপি কিছু মানুষ মেরেছে – হাসিনা গণহত্যা করেছে।
শেষ কথা:
শেখ হাসিনা ১৫ বছরে বাংলাদেশকে যা করেছে, সেটা শুধু দুর্নীতি না – এটা জাতীয় সর্বনাশ।
- ব্যাংক সিস্টেম ধসে পড়েছে
- প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে
- হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে
- লক্ষ লক্ষ পরিবার সর্বস্বান্ত
- দেশ ঋণে ডুবে গেছে
- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বন্ধক হয়ে গেছে
বিএনপি একটা অপরাধী চক্র ছিল।
হাসিনা একটা ট্র্যাজেডি।
বিএনপির দুর্নীতি থেকে দেশ সেরেছিল।
হাসিনার দুর্নীতি থেকে সেরে উঠতে দশক লাগবে।
প্রশ্ন আর থাকে?
২৩৪ বিলিয়ন ডলার চুরি।
১,০০০+ শিক্ষার্থী হত্যা।
৪০০+ গুম।
১,৯২৬ ক্রসফায়ার।
পুরো দেশ লুটপাট।
এরচেয়ে বড় দুর্নীতি আর কী হতে পারে?
শেখ হাসিনা = বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লুটেরা। এটাই সত্য। এটাই বাস্তবতা। এটাই শেষ কথা।